add site 2

ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস কে এবং তার জীবনী

ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস কে এবং তার জীবনী  


ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস কে এবং তার জীবনী

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, সামাজিক উদ্যোক্তা ও নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব। তিনি মাইক্রোক্রেডিট বা ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছেন। নিচে তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরা হলো:

🔹 জন্ম ও শিক্ষাজীবন:

জন্ম: ২৮ জুন, ১৯৪০ সাল
জন্মস্থান: চট্টগ্রাম, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ)
প্রাথমিক শিক্ষা: চট্টগ্রামে
স্নাতক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (১৯৬০)
উচ্চশিক্ষা: ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি


🔹 কর্মজীবন:

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসে থেকে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করেন।
স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
১৯৭৬ সালে তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রাথমিক ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করেন।

🔹 গ্রামীণ ব্যাংক ও মাইক্রোক্রেডিট:

গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা: ১৯৮৩ সালে সরকারিভাবে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।
ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দরিদ্র, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জনের সুযোগ করে দেন।
তার মডেল বিশ্বের বহু দেশে অনুকরণীয় হয়েছে।


🔹 পুরস্কার ও সম্মাননা:

নোবেল শান্তি পুরস্কার: ২০০৬ সালে ড. ইউনুস ও গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে এই পুরস্কার লাভ করেন।
তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন, যার মধ্যে আছে:
প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম (যুক্তরাষ্ট্র)
কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল (যুক্তরাষ্ট্র)
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট


🔹 গ্রন্থসমূহ:

Banker to the Poor
Creating a World Without Poverty
Building Social Business
ড. মুহাম্মদ ইউনুস একজন দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ব্যক্তি, যিনি অর্থনীতিকে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তাঁর কাজ আজও দারিদ্র্য বিমোচনের পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচিত হয়।


🔹 তাঁর আর্থিক অবস্থান সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

ব্যক্তিগত মালিকানা:

গ্রামীণ ব্যাংক বা অন্য কোনো সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন নয়। তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লাভ করেন না এবং লভ্যাংশ গ্রহণ করেন না।

আয় ও সম্পদ:

তার আয়ের প্রধান উৎস হতে পারে বক্তৃতা, বইয়ের রয়্যালটি (যেমন Banker to the Poor), এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ। তবে তিনি ধন-সম্পদ সঞ্চয়ে আগ্রহী নন বলে জানা যায়।

তাঁর জীবনধারা:

তিনি সাধারণ জীবনযাপন করেন, সাদামাটা জীবনধারার পক্ষে অবস্থান নেন, এবং নিজেকে মূলত একজন “social entrepreneur” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

নোবেল পুরস্কারের অর্থ:


নোবেল শান্তি পুরস্কারের অর্থ (প্রায় ১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) তিনি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করেননি; তিনি তা বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে ব্যয় করেন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

add site 4