add site 2

বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত?

  বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ব্যবহার একটি অভূতপূর্ব গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের অন্যতম প্রধান সূচক। ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত, বাংলাদেশে মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯২.৪৩ মিলিয়নে। এই পরিসংখ্যানটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (BTRC) সর্বশেষ তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত।



মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ

১. ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগ

সরকারের "ডিজিটাল বাংলাদেশ" উদ্যোগের আওতায়, দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, গ্রামাঞ্চলেও মোবাইল ফোনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

২. মোবাইল ইন্টারনেটের বিস্তার

২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত, বাংলাদেশে মোট মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৭.০৭ মিলিয়নে |


৩. স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা

স্মার্টফোনের দাম কমে যাওয়ায় এবং বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের আকর্ষণীয় অফারের ফলে, সাধারণ মানুষও স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারছেন।

প্রধান মোবাইল অপারেটরদের বাজার শেয়ার

বাংলাদেশে বর্তমানে চারটি প্রধান মোবাইল অপারেটর কার্যক্রম চালাচ্ছে:

  • গ্রামীণফোন: ৮৫.০৮ মিলিয়ন ব্যবহারকারী
  • রবি আজিয়াটা: ৫৮.৩৬ মিলিয়ন ব্যবহারকারী
  • বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস: ৪২.৪৭ মিলিয়ন ব্যবহারকারী
  • টেলিটক বাংলাদেশ: ৬.৫৩ মিলিয়ন ব্যবহারকারী

উল্লেখ্য, অনেক ব্যবহারকারী একাধিক সিম ব্যবহার করেন, ফলে মোট সাবস্ক্রিপশন সংখ্যা দেশের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি হতে পারে।

মোবাইল ফোনের সামাজিক প্রভাব

শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি

মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন শিক্ষা উপকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রবেশের একটি সহজ মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।

অর্থনৈতিক কার্যক্রম

মোবাইল ব্যাংকিং এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

সামাজিক সংযোগ

মোবাইল ফোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করছে, যা সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক।

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ

যত দ্রুত মোবাইল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততই ডিজিটাল নিরাপত্তা, তথ্যের গোপনীয়তা এবং সাইবার অপরাধের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তথ্য প্রবাহের নিয়ন্ত্রণ এবং ডিজিটাল বিভাজনও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা।

উপসংহার

বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত হচ্ছে। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায়, ভবিষ্যতে এই খাত আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা যায়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

add site 4